শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ ঢাকা, বাংলাদেশ
সংবাদ

দেশের উত্তরাঞ্চলে এটিই প্রথম ত্বীন ফলের বাগান

দেশের উত্তরাঞ্চলে এটিই প্রথম ত্বীন ফলের বাগান

তিন ফলের চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মালারপাড়ায় মতিউল মান্নান নিজের চার বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন ত্বীন ফলের বাগান। গত অক্টোবরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা এই বাগানে এরই মধ্যে ফল ধরা শুরু হয়েছে। মরুভূমির ত্বীন ফলের চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিনাজপুরে। এতে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ফলটি বেশ সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল।

দেশের উত্তরাঞ্চলে এটিই প্রথম ত্বীন ফলের বাগান। রোগ-বালাই নাই বললেই চলে। এই ফলচাষে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ত্বীন ফলের উল্লেখ রয়েছে ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফে। নবাবগঞ্জের মালারপাড়া গ্রামে ত্বীন ফলের বাগান স্থানীয় যুবকদের প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে ত্বীন গাছের কলম করে বিক্রির কাজও শুরু হয়েছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে কলম বিক্রি হবে।

 

গাজীপুর থেকে ত্বীন ফলের চারা নিয়ে গত অক্টোবরে নিজের চার বিঘা জমিতে বাগান গড়ে তোলেন মতিউল। ত্বীন গাছে প্রথম তিন মাসের পর থেকেই ফল ধরছে এবং প্রতি বছর দ্বিগুণ হারে ফল ধরবে। বর্তমানে তার প্রতিটি গাছে আড়াই থেকে তিন কেজি ফল ধরেছে। এরপর ছয় কেজি এবং তার পরের বার ১০ কেজি- এভাবে ক্রমেই ফলন বাড়বে। প্রতিটি ত্বীন ফলের ওজন ৭০ থেকে ১১০ গ্রাম হয়। এটি দেশীয় কাকডুমুর থেকে বড়। ত্বীন গাছ ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত বড় হয়। ঘন এবং খসখসে পাতায় ভরপুর থাকে। গাছ কমপক্ষে ১০০ বছর বাঁচে। এক নাগাড়ে ৩৫ বছরের সবসময়ই ফল দেবে। চাষি মতিউলের চার বিঘা জমির বাগানে এক হাজার গাছ রয়েছে। প্রথমবারেই ফল পাওয়া যাবে কমপক্ষে আড়াই টন। ঢাকার বাজারে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে পাওয়া যাবে ২৫ লাখ টাকা। বিদেশে রপ্তানি করলে আরও লাভবান হওয়া যাবে।

চাষি মতিউল জানান, ত্বীন বাগানে রোগ-বালাই তুলনামূলক কম হয়। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। পরিচর্যার জন্য তার বাগানে ৭-৮ জন মানুষ সবসময় কাজ করেন। এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকা। প্রথম সময়েই খরচ। এরপর তেমন আর খরচ নেই। ত্বীন বাগান ও চাষ পদ্ধতি জানতে চাষি, সাধারণ মানুষ বাগানটি দেখতে ভিড় করছেন এবং এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। 

উপকার সম্পর্কে ত্বীন চাষি মতিউল বলেন, এই ফল দিয়ে জ্যাম, জ্যালি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। নানাবিধ পুষ্টি গুণের পাশাপাশি বহুবিধ ঔষধি গুণও রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এর চাষাবাদ হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। তিনি আরও জানান, এ ত্বীন ফল দেশে সারা বছর পুষ্টি ও ফলের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।

এই কুইজে


- জন
অংশগ্রহণ করেছেন
আপনিও রেজিষ্ট্রেশন করুন


ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধু

ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধু

১৪ আগস্ট ২০২০

আজ আপনার জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই!

শিরোনাম:
   নিজের সন্তানের প্রতি বাবার লেখা খোলা চিঠি!        ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র        ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ।        ইমরান খানের প্রশ্ন” কে ছিলো প্রকৃত বিশ্বাসঘাতক ? ইয়াহিয়া না’কি শেখ মুজিব।        চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনা অফিসারের অভ্যুত্থান, নাকি হত্যাকাণ্ড?        র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) নতুন দায়িত্বে ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ।        কৃষি শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি        এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার        তীব্র তাপপ্রবাহে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, মাথা ধরা, পেটের অসুখের প্রতিকার এই চার খাবারে        গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন আহত।        হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি        দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পরামর্শ        চাঁদার না দেয়ায় প্রবাসী ব্যাবসায়ী ও পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ        শরীরে পানির অভাবে বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি।        টন বলতে এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না।